দৈনন্দিন জীবনে কোমর ও পিঠের ব্যথা একটি অত্যন্ত সাধারণ সমস্যা। স্ট্রেসফুল লাইফ, বার্ধক্য, দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করা, কম হাঁটার কারণে ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। তাই কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে পিঠ ও কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তাহলে দেখে নিন কিছু ঘরোয়া উপায়-
রসুন: কোমর ও পিঠের ব্যথা দূর করতে রসুন ব্যবহার করুন। কিছুটা রসুনের পেস্ট নিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে কোমরে মালিশ করুন। এরপর ওই স্থানটি ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। এছাড়া, ৩-৪ কোয়া রসুনের সেবনও খুব কার্যকরী।
অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরা এই গাছের পাতা তার ওষুধি গুণের জন্য অত্যন্ত সুপরিচিত। অ্যালোভেরা জেল নিয়মিত পিঠে এবং কোমরে লাগানো হলে
কোমর ও পিঠে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তাছাড়া অ্যালোভেরা জেলের সেবনও ব্যথা উপশম করতে অত্যন্ত সহায়ক।
হট এবং কোল্ড প্যাকের ব্যবহার: হট এবং কোল্ড প্যাকের ব্যবহার হট এবং কোল্ড প্যাক ব্যথা স্থানে ব্যবহার করলে, এটি পিঠে বা কোমরে তীব্র যন্ত্রণা কমাতে পারে। ব্যথার স্থানে কোল্ড প্যাক ব্যবহার করলে, এটি নির্দিষ্ট পরিমাণে ফোলাভাব এবং ব্যথা কমাতে পারে। তারপর, ওই স্থানেই দুইদিন পর গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে সেঁক দিন। ফল হাতেনাতে পাবেন!
ইউক্যালিপটাস তেল ব্যবহার করুন: এক বালতি ঈষদুষ্ণ জলে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন। তারপর ওই জল দিয়ে স্নান করুন। এটি ব্যাক পেন কমানোর পাশাপাশি স্নায়ু শান্ত করতেও সহায়তা করে।
যোগব্যায়াম করুন: যোগব্যায়াম করুন ব্যাক পেন কমানোর অন্যতম কার্যকর প্রতিকার হল যোগব্যায়াম। এক্ষেত্রে ক্যাট পোজ-এর মতো যোগা খুবই কার্যকরী।
স্ট্রেচিং: স্ট্রেচিং একটি অত্যন্ত কার্যকর প্রতিকার। এটি শরীরের সমস্ত পেশীগুলিকে প্রসারিত করে। অসহ্য পিঠ-কোমরের যন্ত্রণায় কষ্ট পাওয়া ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে, স্ট্রেচিং ত্রাণকর্তা হিসেবে কাজ করে।
ম্যাসাজ: প্রতিদিন সকালে পিঠ এবং কোমরে সর্ষে তেলের মালিশ, যন্ত্রণা কমানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর। তবে মালিশের পর অবশ্যই ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে স্নান করুন। এটি নিয়মিত করা হলে পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
সূত্র-বোল্ডস্কাই
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।